ঢাকা: ইরাকের বাগদাদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন করেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম ইরাকের সঙ্গে যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইওএম, ইরাকের পক্ষ থেকে সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ক্লারা লিস্টার ও প্রটেকশন অফিসার কারলোতা পানচেতিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস এর ডেপুটি প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর মি. সেলিম হেধলি। অনুষ্ঠানে ইরাকের অভিবাসী ও মানবাধিকার বিষয়ে কার্যক্রমে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত দূতাবাস চত্ত্বরে ৩ টি বিশেষ থিমের ওপর মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম থিমের বিষয়বস্তু ছিল ইরাকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবদান ও শ্রম ব্যবস্থাপনা, ২য় থিম ছিল ইরাকে অভিবাসী কর্মীদের সম্ভাবনা ও সমস্যা এবং ৩য় থিম ছিল ইরাকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর কোভিড ১৯ এর প্রভাব।
মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে তিনটি থিমে ইরাকের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইরাকে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভিবাসীদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া নানা কার্যক্রম তুলে ধরেন।
আইওএম ও রেডক্রসের প্রতিনিধিরা মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন ও নৈতিকতার নীতি মেনে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দালালের খপ্পরে না পড়ে নিয়ম-কানুন জেনে বৈধ পথে বাংলাদেশ হতে বিদেশে আসতে বক্তারা উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরামর্শ দেন। এছাড়া যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ও গোলযোগপূর্ণ ইরাকে প্রকৃত মালিকের অধীনে বৈধভাবে কাজ করার জন্যও বক্তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
টিআর/এসআইএস