ঢাকা: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার শর্ত অনুযায়ী চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের বিদেশে স্বীকৃতিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল করতে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন-২০২১’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডাব্লিউএইচও এবং তাদের সংশ্লিষ্ট যত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা আছে, তাদের একটা সিদ্ধান্ত আছে যে, ২০২৪ সালের মধ্যে সবাইকে একটা মিনিমান সিস্টেমের মধ্যে, অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে আসতে হবে। যদি কোন দেশ সেই অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে না আসে তাহলে সেই দেশের ডাক্তার কিংবা কোন হেলথ টেকনিক্যাল লোকজন অন্যদেশে রিকোগনাইজড (স্বীকৃতি) হবে না। তারা বিদেশে চাকরি করতে যেতে পারবে না। শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে গিয়ে শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবে না। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই শর্ত ছিল, কোভিডের কারণে তার ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উন্নত দেশে যদি আমাদের মেডিক্যাল শিক্ষা বা পেশাকে স্বীকৃতি দিতে হয় কিংবা দেশে এমবিবিএস করার পর শিক্ষার্থীদের অন্যদেশে উচ্চ শিক্ষা নিতে হয় তবে তাদের একটা অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের আওতায় তাকে স্বীকৃতি নিতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, খসড়া আইনানুযায়ী একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে। সেই কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করবে। নীতিমালা বা ক্রাইটেরিয়া সব প্রণয়ন করবে। এখানে ১৯ সদস্যের একটা কাউন্সিল থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের অ্যাক্রেডিটেশনের ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ড ফিক্সড করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি