ভোলা: দ্বীপজেলা ভোলায় জেঁকে বসছে শীত। আর এ শীতেই তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মিষ্টি জাতীয় মুখরোচক খাবার।
শীতের সময় হাটবাজারগুলোতে জিলাপি কেনা-বেচার ধুম পড়ে যায়। তাই জিলাপির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
কারিগরদের তৈরিকৃত বাহারি আকৃতির এ জিলাপি খেতে দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসে মানুষ। তবে হাটের দিন কেনা-বেচা হয় অনেক বেশি। রাতের আড্ডায় জিলাপি যেন বাড়তি আনন্দ দেয়। হোটেল-রেঁস্তরা বা ফুটপাত সব জায়গায় পসরা সাজিয়ে বিক্রি হয় জিলাপি। দোকানগুলোতে দেখা যায় জিলাপি খাওয়ার ধুম।
কারিগররা জানান, চালের গুড়া, ময়দা, এলাচি, দারুচিনি, তেল, চিনি এবং গুড়ের মিশ্রনসহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু জিলাপি। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের প্রিয় খাবার জিলাপি। আকার এবং আকৃতি অনুযায়ী জিলাপির দামও ভিন্ন। তবে খেঁজুর গুড়ের তৈরি জিলাপি কিছুটা বেশি। বিগত বছরেও তুলনায় এ বছর জিলাপির দাম একটু চড়া হলেও জিলাপি খেতে কেউ ভুল করছেন না।
জিলাপি খেতে আসা শাহিন কুতুব, সালম সেন্টু ও মনজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শীতের দিনে জিলাপি খেতে খুবই মজা। অন্য সময় এমন মজা লাগে না, তাই মাঝে মধ্যে আমরা জিলাপি খেতে দোকানে চলে আসি।
কয়েকজন জিলাপি বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, সারাবছর জিলাপি তৈরি হলেও শীতের মৌসুমে টানা চারমাস জিলাপির ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই অমরকোষ মৌসুমী দোকানি জিলাপি তৈরিতে ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের হাটগুলোতেও বসে অসংখ্য জিলাপির দোকান। ফুটপাতের একেকটি দোকানে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ হাজার টাকার জিলাপি বিক্রি হয়। তবে গ্রামে হাটের দিনে ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
জেলায় দেড় শতাধিক হাট-বাজারে শীতের সময় মৌসুমী জিলাপি দোকানিদের দেখা যায়। তারা সড়কের পাশে বা ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে শুধু জিলাপি বিক্রি করেন। এ সময়টায় কারিগরদের কদর বাড়ে। গ্রামেগঞ্জে বা হাটবাজারে জিলাপি বিক্রি করে অনেক ব্যবসায়ী এখন সাবলম্বী।
জিলাপি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি গুড়ের তৈরি এবং অপরটি চিনির। যার যেটা পছন্দ সে সেটাই খাচ্ছেন। কেউ আবার বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন। তবে খেঁজুর গুড়ের জিলাপির দাম কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এনটি