ঢাকা: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন ৭৯ সাঁতারু।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৪০মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে তারা সাঁতার শুরু করেছেন। ১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ নামে সাঁতারের এ আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান। রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় আছেন তার মা।
ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে। কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লারিসা সাংবাদিকদের বলে, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি, আমি পারবো। ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ’
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এবার সর্বোচ্চ ৭৯ সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন উপস্থিত হতে পারেননি। গত বছর ৪৩ সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ সফল হয়েছিলেন।
লিপটন সরকার বলেন, এ সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছেন। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারু অংশ নিয়েছেন।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
আরআইএস