ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষক উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম না পেলে পুষ্টি তো দূরে থাক আপনি তো ফসলই খুঁজেই পাবেন না। কৃষকরা এখনও ফসল উৎপাদন করে আমাদের খাওয়াচ্ছেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শাক-সবজির দাম বেশি, চালের দাম বাড়ছে- এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মূল্য বৃদ্ধির কারণটা কী? উৎপাদিত ফসল যখন বাজারে আনা হয়, সবজির কথাই বলছি, সবজির মোকামে আপনি যান সবজি আপনি যে দামে কিনবেন, ঢাকা আসতে যদি দাম চারগুণ বেশি হয়, আমাদের কিন্তু কোনো সিস্টেম কিংবা মনিটরিংও নেই, আমাদের কোনো নীতিমালা বা রেটও নেই। লাল শাক, কপি এই দামে বিক্রি করতে হবে, এমন কিছু নেই।
মোটা চালের দাম বাড়ছে না দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন বলেন, ‘মানুষ সরু ও মাঝারি চাল খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এক রিকশাওয়ালা বললেন, আমি সরু চালের ভাত খাই। এই যে সরু চালের ওপর প্রভাবটা। সরু চাল কিন্তু আমনের সময় উৎপাদন হয় না, এটা আপনাদের বুঝতে হবে। ’ সরু চাল উৎপাদন হয় বোরো মৌসুমে। বোরো মৌসুমে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো সরু ও মাঝারি চাল উৎপাদন হয়।
তিনি বলেন, ফাল্গুন-চৈত্র মাসের দিকে চালের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য আমরা সচেষ্ট থাকি। এজন্য আমরা গত বছর বেসরকারিভাবে কিছুটা আমদানিও করেছিলাম। সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে।
তেলের দাম বাড়ার কারণে চাল পরিবহন খরচ বেড়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন বলেন, তারপরও আমাদের মনিটরিং অত্যাধিক জোরদার করা আছে।
তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয় কারণ ব্যবসায়ীরা আমাদের বেকায়দায় ফেলার মতো কোনো পরিস্থিতি যাতে তৈরি করতে না পারে। আমরা ১৭ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিলাম, কিন্তু চাল এসেছে ২ লাখ ৯৪ হাজার টনের মতো। এদিকে আমরা সরু পোলাও চাল আবার রপ্তানিও করি। আমরা কিন্তু সত্যি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুর্যোগ ও নিরাপত্তার কারণে আমরা কিছু আনি, এটা দোষের কিছু নয়।
এ বিষয়ে খাদ্য সচিব বলেন, ব্যবসায়ীরা চাল আনেননি, কারণ তারা আনলে লাভ করতে পারবে না। এর মানে চাল দেশেই আছে। যে চাল আনি সেটা এক্সট্রা, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আনা হয়। কিন্তু আমরা এটা এমনভাবে করি যাতে কৃষকের ক্ষতি না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস