মেহেরপুর: সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় মেহেরপুরে ও সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে গত দুদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহও ঘন কুয়াশায় মেহেরপুরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন জেলার ছিন্নমূল, অসহায় দুস্থ ও দিনমজুররা। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্ট পাচ্ছেন তারা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শৈত্য প্রবাহ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত থাকতে পারে। এসময় তাপমাত্র আরও কমতে পারে।
সরেজমিনে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তীব্র শীতের প্রকোপে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। প্রচণ্ড শীতের দাপটে শিশু, বয়স্ক মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। শুধু মানুষই নয়, জবুথবু হয়ে পড়েছে প্রাণীকুলও।
শীতের প্রকোপে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা আক্রান্তরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। আর এসব আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া সর্দি জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তরাও হাসপাতালে ছুটছেন।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে সরকারি ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুস্থ, গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। কিন্তু এ বছর শীতবস্ত্র বিতরণ একেবারে কম।
জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান জানান, দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য শীত বস্ত্র, কম্বলের জন্য দুর্যোগ, ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
তীব্র শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরনো কাপড়ের মার্কেট গুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে।
সোমবার সরেজমিনে গাংনী উপজেলা সদরের শীতবস্ত্রের মার্কেট ও পুরনো কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গরম কাপড় সংগ্রহে মানুষ ভিড় করছেন। কিন্তু এসবের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তীব্র শীত পড়ায় এবং মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখে গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হাঁকছেন। ফলে দুস্থ ও অসহায় গরিব মানুষ এসব গরম কাপড় সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০,২০২১
এমএমজেড