ঢাকা: ছাত্রী হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সিট বাতিল বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার পরিপন্থি উল্লেখ করে অবিলম্বে এ অগণতান্ত্রিক নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আবাসিক ছাত্রীদের সিট বণ্টন সম্পর্কিত ও অন্যান্য শৃঙ্খলামূলক নিয়মবিধির ১৬ নম্বর পয়েন্টে বলা আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না’ এমন একটি অগণতান্ত্রিক নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার পরিপন্থি। যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। সবার জন্য উচ্চশিক্ষা হতে হবে বাধাহীন।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের নারীসমাজ দীর্ঘদিন ধরে সমঅধিকার ও সমমর্যদা প্রতিষ্ঠার লড়াই করে আসছে। ঘরে বাইরে সর্বত্র যখন নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি উঠছে তখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের নিয়ম থাকা নারীর প্রতি চরম বৈষম্যমূলক মনোভাবের পরিচায়ক।
নারী মুক্তি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, এদেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান আছে যে, বিশেষ ক্ষেত্রে বাবা মা চাইলে ১৮ বছরের নিচে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতে পারবেন। তাহলে যে দেশে বাল্যবিবাহকে বৈধতা দেওয়া আছে, সেদেশে নারী সন্তানসম্ভবা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে তার সিট থাকবে না কেন?
নেতারা অবিলম্বে এই অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিলের দাবি করেন। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে যে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে উঠবে তাকে কোনভাবেই দমন করা যাবে না বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ