নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসের চালক, কন্ট্রাক্টর ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় আটক তিন জনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলো- কিশোরগঞ্জ মশিরা এলাকার হাছেন আলীর ছেলে বাস চালক নুরুল হক (২১), বড়গুনা চরখালি এলাকার আল আমিনের ছেলে কন্ট্রাক্টর শান্ত (১৬) ও রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে হেলপার বুলেট (১৪)।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০টায় রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাবাড়ী থেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবহন’ নামে বাসে উঠি। বাসটি শিমরাইল (চিটাগাং রোড নামে পরিচিত) আসার পর সব যাত্রী নেমে যায়। তখন আমিই বাসে একমাত্র যাত্রী। পরে বাসটি বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় আসলে বাসের চালক, কন্ট্রাক্টর ও হেলপার মিলে বাসে জোরে গান চালিয়ে পালাক্রমে জোর করে আমকে ধর্ষণ করে। আমি কৌশলে বাস থেকে নেমে ‘৯৯৯’ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষকদের আটক করে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বাসে এক নারীকে গণধর্ষণের খবর পেয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ওই তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আর ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আটক তিন জনের মধ্যে দুই জন কিশোর। ফলে চালক নুরুল হককে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ও দুই কিশোরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, তিন জনের মধ্যে একজন ড্রাইভারকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামানের আদালতে পাঠানো হয়। ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ২ আসামি কিশোর হওয়ায় তাদের কিশোর সংশোধন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
জেডএ