বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রামপাল থানায় মামলা হয়েছে। হত্যার তিনদিন পর বোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন।
এদিকে মামলার পর পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে এ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাব অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া ও শ্রীকলস এলাকার মো. বজলু শেখ (২৫), ইমরান শেখ (২২), এনাম শেখ (৪২), সুমন শেখ (২১), সাগর গাজী (২২), মো. ফজলু শেখ (৪৫), ইনছান আলী (৭০), ডাবলু শেখ (২৪), সিরাজ শেখ (৫৫) এবং ইউনুস আলী (৩৪)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রামপাল সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস, এম জামিল হাসান জামুকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু চেয়ারম্যান জামুর সহযোগী ফিরোজ ঢালীর কারণে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র বার বার ব্যর্থ হয়। এরই জের ধরে ফিরোজকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেলাল-বাকি-মাহজিবসহ অন্যরা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় শ্রীকলস গ্রামের আবু সাইদের বাড়ির সামনে বেলাল বেপারী ও তার ভাই বাকী বেপারীসহ ৬০-৭০ জন ফিরোজ ঢালীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে মারা যায় ফিরোজ। এ হামলার ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন। তারা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী নাজমা বেগম ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন কে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহার নামীয় ১০ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
এমএমজেড