গাইবান্ধা: গত কয়েকদিন থেকে শীতে বেশি চাড়া দিসে। এবার আরও শীত পড়ব্যি মনে হয়।
এ শীতে কম্বল পেয়ে এভাবে কথাগুলো বলেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাপুর দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশু মো. হাসান (৭) ও আপেল মাহমুদ (১০)।
সেখানে উপস্থিত ব্যবসায়ী সাদেক আলী বললেন, বসুন্ধরা গ্রুপ অন্য দুর্যোগের মত এ শীতেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের দেওয়া কম্বল দুঃস্থ অসহায় মানুষদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের তরুণ কর্মীরা। এ উদ্যোগের তুলনা হয় না।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নূর মোহাম্মদ রাফি এতিম শিশুদের হাতে কম্বল দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান রণি, সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম মিয়া নূরসহ অন্যরা।
দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫ জন দুস্থ ও অস্বচ্ছল রোগীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে শুভসংঘের কর্মীরা।
কম্বল পেয়ে বেলকার শাজাহান মিয়া (৫৫) বলেন, এ কম্বল হাসপাতালে যেমন কামে লাগবে তেমনি বাড়িতও গায়োত দিব্যার পামো। বাঁচি থাকেন তোমরা পেপারের লোকগুল্যা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে স্থানীয় চল্লিশজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শরীরে উপহার হিসেবে কম্বল জড়িয়ে দেয় শুভ সংঘের কর্মীরা। এটি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন ও শুভ সংঘের উপজেলা সভাপতি নূর মোহাম্মদ রাফি।
কম্বল নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাণ ভরে দোয়া করি বসুন্ধরা গ্রুপ ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সবার জন্য। সেই করোনাকাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তার তুলনা মেলা ভার!
সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান রণি জানান, শুভসংঘের কেন্দ্র থেকে দেওয়া অবশিষ্ট কম্বল প্রতিদিন রাতে কর্মীরা ঘুরে ঘুরে অসহায় ছিন্নমূল মানুষদের কাছে পৌঁছে দেবেন।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় জেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
জেডএ