কক্সবাজার: মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন অগ্রিম রুম বুকিং করতে না পারে সে জন্য কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেলকে এক মাসের মধ্যে রুমের মূল্য তালিকাসহ অনলাইন বুকিংয়ের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে রেস্টুরেন্ট ও সব যোগাযোগ বাহনে নির্ধারিত মূল্য তালিকা টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত পর্যটন ব্যবসায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অংশ গ্রহণকারীরা বলেন, এখানে পর্যটকদের জন্য কোনো রোডম্যাপ নেই। গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে খাবারের দোকান, হোটেল-মোটেল ভাড়া আদায়েও কোনো নির্দেশনা নেই। এসব অনিয়ম রোধ না করলে পর্যটন শিল্পে ধস নামবে।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার পর্যটনবান্ধব এলাকা, এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কক্সবাজারের মতো পর্যটনের সুযোগ সুবিধা অন্যান্য জেলায় নেই। তাই পর্যটন বিকাশের স্বার্থে সবাইকে পর্যটনবান্ধব হতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এখানকার সব হোটেল-মোটেলকে অনলাইন বুকিংয়ের আওতায় আনতে হবে এবং সেখানে কক্ষের ভাড়া উল্লেখ থাকতে হবে। একইভাবে রেস্তোরাঁগুলোতেও খাবারের মূল্য তালিকা টানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই র্যাপিড রেসপন্স টিমের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা জাসদের সভাপতি নইনুল হক চৌধুরী টুটুল, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, জেলা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিব উর রাজা প্রমুখ।
সভায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে শহরের বাইরে গাড়ি পার্কিং ও বাস টার্মিনাল করার সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
এসএমএকে/আরবি