ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘কিছু লোক যুক্তরাষ্ট্রকে ঢালাওভাবে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
‘কিছু লোক যুক্তরাষ্ট্রকে ঢালাওভাবে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে’ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছেন, যারা ধারাবাহিকভাবে মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তারা ঢালাওভাবে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন, মিথ্যা ভিডিও বানাচ্ছেন।

আর আপনারা যেগুলো বলেন―সেগুলো ওরাও বলে। ’

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ডিপ্লোম্যাট পত্রিকার আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা সংকট ও প্রত্যাবাসন: কী করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ চাপ অনুভব করছে কি-না জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনার শেষে ব্লগার অভিজিৎ রায়ের দুই হত্যাকারীর বিষয়ে তথ্য দিতে মার্কিন পুরস্কার ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এভাবে পুরস্কার ঘোষণা করে সফল হয়েছে। অনেক দেশে যখন তথ্য পাওয়া যায় না... আমি শুনেছি বিন লাদেনের ক্ষেত্রেও একইভাবে হয়েছে। এই পলিসি অনেক সময় সফল হয়। আমরা যেমন বঙ্গবন্ধুর তিন পলাতক খুনি যাদের অবস্থান জানি না তাদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি। কেউ যদি সঠিক তথ্য দিতে পারেন, অবশ্যই সরকার তাদের পুরস্কার দেবেন। তারাও এ রকম দিয়েছে। আমি অভিজিৎ হত্যার মামলা পুরোপুরি ফলো করিনি। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে ভালো বলতে পারবেন। শুনেছি যে, ওই মামলায় যাদের শাস্তি হয়েছে তাদের দু’জন পলাতক আছেন। তারা কোথায় আছেন, কোন দেশে আছেন আমরা তা জানি না। হয়তো মার্কিন এই উদ্যোগের ফলে আমাদের পলাতক খুনিদের ধরার যে প্রচেষ্টা তাতে সহায়ক হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মারা গেলে ‘বিচারবর্হিভূত’ হত্যা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেলে বলা হয় দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছে। আমাদের দেশে একজন মারা গেলেই সংবাদপত্র বড় হরফে লিখে ‘বিনা বিচারে হত্যা। ’ এগুলো থেকে যা তাদের দরকার, সেগুলো তারা ফলাও করে প্রচার করে। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কিছু লোক আছেন যারা দেশের উন্নয়নে খুব সন্তুষ্ট নন। একদল লোক আছেন যারা মনে করেন আওয়ামী লীগ এত ভালো করে ফেলছে কেন! সুতরাং তারা এটা পছন্দ করেন না। খুব সম্ভবত তারা তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) কাছ থেকে টাকা পান। তারা তথ্যগুলো ঠিকমতো দেন না। মিথ্যা তথ্য দেন। আর অনেকে তা বিশ্বাসও করেন। সেখানে আমাদের কিছু কাজ করার সুযোগ আছে। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বিশেষ কিছু করেনি। তারা শুধু তাদের কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করছি। যখনই কোনো দেশ উন্নতি করতে থাকে তার শত্রু বাড়ে, চাপও বাড়ে। আপনি যখন ভালো করেন অনেক সহকর্মী শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। আপনি বেশি ভালো করেন, কিছু শত্রুর দেখা পাবেন। এটাই হয়ে থাকে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৮ ঘণ্টা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১
টিআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।