লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে আটক বরেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১০জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতার উঠান বৈঠক ছিল গেন্দুকুড়ি গ্রামে। একই সময় ওই এলাকায় গণসংযোগে যান আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী সেলিম হোসেনের কর্মীরা। এ সময় দুই প্রার্থীর কর্মীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আহতদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে হাতীবান্ধা হাসপাতালে আবারও উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আরও ৪ জন আহত হন। এ নিয়ে এ সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন।
এর পর, তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে ৪ জনকে আটক করে হাতীবান্ধা থানার পুলিশ। তাদের জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরকে দোষ দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হোসেন দাবী করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে তার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতা দাবী করেন, তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
জেডএ