পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় হামিদুল ইসলাম (৬৮) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাইসহ আরও দুজন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের মোমিনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে একই এলাকার ময়র আলীর ছেলে মজিবর রহমান, সাহেবজোত গ্রামের আব্দুল রতন, মোমিনপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের (আকাটু) ছেলে মুরগি বিক্রেতা সাইফুল, তার ভাই সায়েদ, ময়ন আলীর ছেলে শহিদুল, সাহেবজোত এলাকার ময়ব আলীর ছেলে মজিরুল তাদের জমির গাছ কাটতে যায়। এসময় গাছ কাটতে দেখে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এতে তারা না শুনলে থানায় অভিযোগ করা হয়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের গাছ কাটতে নিষেধ করে চলে যায়। তারা পুনরায় গাছ কাটা শুরু করে। এর মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুলকে রাস্তার পাশে দেখতে পেয়ে তারা বেধরক মারধর করে। এসময় ছোট ভাই হারেস আলম ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সুলতান মাহমুদ রুবেল বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুলকে উদ্ধার করতে গেলে তারা নারী-পুরুষ মিলে ১০-১২ জন তাদের লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করে। এতে হারেস আলী ও রুবেল গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই সঙ্গে আমি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যকরী সদস্য। আমরা তো সেখানে মারামারি করতে যাইনি। আমাদের গাছ কাটতে গেলে তাদের বাধা দেই। এতে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার ছোট ভাই ও ছেলে আমাকে বাঁচাতে গেলে তারাও গুরুতর আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
হামিদুল ইসলামের আরেক ছোট ভাই মনিরুজ্জামান তুষার, মোছাদ্দেক হোসেন শিশির বলেন, কিভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধসহ তার পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হলো। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে অভিযোগ পেয়ে গাছ কাটা বন্ধের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ঘটনায় নতুন কোনো অভিযোগ আসেনি। নতুন করে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
আরএ