ঢাকা: হেফাজত নেতাদের তথ্য চেয়ে ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, এরমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে আয়-ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিদায়ী সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে এক সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
বিদায়ী দুদক সচিব বলেন, হেফাজতে ইসলাম সংগঠনের বিভিন্ন ব্যাক্তির সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এখনও উল্লেখযোগ্য তথ্য হাতে আসেনি।
কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএফআইইউ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বরাবর অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা রেজিস্ট্রার, জীবন বীমা কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, রিহ্যাব, সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিস, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডাক বিভাগ এবং বিভিন্ন তফশিলী ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাটহাজারী/ফটিকছড়ি/পটিয়া বরাবর অভিযোগে বর্ণিত ১৯টি মাদরাসাসহ সেগুলোর নামে ক্রয়কৃত জমির তথ্যাদি সরবরাহের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে মাওলানা মামনুল হকসহ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হতেও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যাচাই-বাছাই চলছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ এবং মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়ার আয়কর নথি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
অভিযোগে বর্ণিত ১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান হতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়, সরকারি অনুদান, ব্যক্তিগত ও অন্যান্য দান ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহসহ প্রতিষ্ঠানের অডিট প্রতিবেদন ও ক্যাশ বই সরবরাহ করেছেন। যাচাই-বাছাই, পর্যালোচনা অব্যাহত আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়:১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড