ঢাকা: ‘আমার স্বামী নেই। ছেলেটি অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছে।
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন খুলনা নগরীর গল্লামারি এলাকার ষাটোর্ধ্ব অসহায় নারী শান্তি দাস। বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একটি কম্বল পেয়ে এ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাঁচ শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজটোয়েন্টিফোরের ব্যুরো প্রধান সামসুজ্জামান শাহীন প্রমুখ।
‘গরীব অসহায়দের ভরা বাইশ্যায় (বর্ষায়) আষাঢ় মাসে করোনাকালে খাবার দিছে। আজ উত্তরা বাতাসের কনকনে ঠাণ্ডা তাড়াতে কম্বল দিল। হামরা (আমরা) খুশি, খুব খুশি। বিনা স্বার্থে হামার কষ্ট তাড়াতে শুভসংঘ সদস্যরা ডাক দেয়। ’ কথাগুলো বলছিলেন বিভিন্ন এলাকা হতে কম্বল নিতে আসা বিধবা মরিতন বেওয়া, শেরিনা বেওয়া, আতেনূর, শামোবালা, জয়ন্তী রানী।
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে নীলফামারীর জলঢাকায় বিতরণ করা হয়েছে ৩০০ কম্বল। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রাবেয়া চৌধুরী ডিগ্রি মহিলা কলেজ মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে অসহায় ও ছিন্নমূলদের মধ্যে ২০০ কম্বল বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জিনিয়াস ক্যাম্পাস স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে সালেহা বেওয়া (৬৭) বলেন, ‘হাওয়া কনকন করিয়্যা শরীলোত বেন্ধে। পাতলা একান চাদর গয়োত দিয়্যা বাড়ান লাগে। এই কম্বলটা ম্যালা কমোত লাগব্যি। ’
ওসি প্রদীপ কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারুণ্যকে মানবিক কাজে উৎসাহিত করে দৈনিক কালের কণ্ঠ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সাদুল্যাপুর উপজেলাসহ পুরো জেলায় শুভসংঘ মানুষের পাশে থেকে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
এনটি