পাবনা: পাবনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন গুলোতে নৌকার পক্ষে সভা সমাবেশ করে ভোট প্রার্থনা করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে জেলা সদরের সব ইউনিয়ন এখন ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদরের দোগাছি ইউনিয়নের খয়েরসূতি স্কুল ও কলেজ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলতাব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মূর্তজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিকসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছা সেবকলীগ, কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সকালে দোগাছি স্কুল মাঠে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এই নির্বাচনে অবহেলিত সাধারণ ভোটারেরা নৌকার পক্ষে গণ জোয়ার তুলেছেন। সকালের মহিলা সবাবেশে প্রায় এক হাজার নারী ও বিকালে পুরুষ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক এলাকার সাধারণ মানুষসহ নৌকার পক্ষের সমর্থকেরা উপস্থিত হন।
নির্বাচনী জনসভায় প্রার্থীসহ উপস্থিত বক্তারা আসছে নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভূলে দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার জন্য সব ভোটারদের নৌকার পক্ষে ভোট চান সবাই। এসময় প্রার্থী আলতাব হোসেন সবার কাছে একটি বারের জন্য ভোট চাইলেন। শেখ হাসিনার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং এলাকার উন্নয়ন ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এই অঞ্চলকে মুক্ত করতে নৌকায় ভোট চাইলেন তিনি।
পাবনা সদরের সবচাইতে কাছের ইউনিয়ন দোগাছী। ৬৬ হাজার ভোটারের বিশাল এই ইউনিয়নের এক পাশে রয়েছে চর অঞ্চল ও পদ্মা নদী আর আরেক পাশে শহর বেষ্টিত গ্রাম। তাই বিগতম দিনে যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি কখনো ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি। নিজ বাড়িতে বসে পরিষদের কাজ করেছেন।
সাধারণ মানুষ সব ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অধিকার আদায়ের জন্য নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন। এবারের নির্বাচনে দোগাছী ইউনিয়নে মোট চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এনএইচআর