বরগুনা: সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত হয়েছে তাইফা আফরিন (১০) নামে একটি শিশু। এ দুর্ঘটনায় তাইফার বাবা গুরুতর দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাইফার স্বজনরা বাংলানিউজকে জানায়, তাইফার নানা আলী শিকদার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাকে চিকিৎসক দেখাতে ঢাকায় অবস্থান করছিল তাইফা ও তার বাবা বশির। চিকিৎসক দেখানো শেষ হলে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে চড়েন তারা। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে এলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সে সময় তাইফার নানা জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এবং তাইফার বাবা ও তাইফা লঞ্চে ডেকে আটকে পড়ে। তাইফা অগ্নিদগ্ধ হয়ে লঞ্চেই মারা যায়, আর তার বাবা বশির গুরুতর দগ্ধ হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তাইফর নানা আলী শিকদার।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
নিহত তাইফা বরগুনার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামের বশির উদ্দিনের মেয়ে।
বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু এবং আহত হয়ে অন্তত ৭০ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
** লঞ্চে আগুন: চালককে দায়ী করছেন যাত্রীরা
** আগুন লাগার জন্য যাত্রীদেরই দায়ী করলেন লঞ্চমালিক
** সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন: ৩৭ জনের মৃত্যু
** ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী লঞ্চে আগুন
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এসআরএস