ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লঞ্চে আগুন: চলছে উদ্ধার অভিযান, তদন্ত শুরু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
লঞ্চে আগুন: চলছে উদ্ধার অভিযান, তদন্ত শুরু  উদ্ধার অভিযান

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি-১০ লঞ্চে আগুন লেগে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে শতাধিক মানুষ।

নদীতে লাফিয়ে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। তাদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে।  

কারও হাতে নিখোঁজদের ছবি। তা নিয়ে নদী তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। কেউ আবার নদী তীরের মিনিপার্ক, ডিসিপার্ক, লঞ্চঘাট এবং ঘটনাস্থল দিয়াকুল এলাকায় ঘুরছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মরদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।  

এদিকে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ঝালকাঠি ও বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে ডুবুরি দল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করবেন জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।  

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব তোফায়েল হাসানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের তদন্ত দল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকায় এসে আগুনে পুরে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন। লঞ্চের ইঞ্জিনকক্ষসহ বিভিন্ন ডেকে তদন্ত করছেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান।  



এ সময় মো. শাজাহান খান বলেন, তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারবো দুর্ঘটনার মূল কারণ। দুর্ঘটনায় জন্য যারা দায়ী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

নৌমন্ত্রণালয় গঠিত সাত সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন- নৌপুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, শীফ সার্ভেয়ার মো. তাইফুর রহমান, নৌপরিবহন সংস্থার পরিচালক মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিটিএ) অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।  

এছাড়া জেলা প্রশাসন গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবেকুন্নাহার, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং বিআইডব্লিটিএ প্রতিনিধি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব তোফায়েল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকালে তদন্ত কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সরেজমিনে লঞ্চের ক্ষতির পরিমাণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে পরিদর্শন করেছি। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে প্রথমে লঞ্চটি যেখানে গিয়ে থেমেছিল, সেখানে গিয়েও লোকজনের সঙ্গে কথা বলবো। এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।