ঢাকা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ দুইজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা রাখা হয়েছে। বাকিদের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাদের আশঙ্কামুক্ত হিসেবে দেখছেন না চিকিৎসকরা। তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন ভর্তি আছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গতকালই ইনস্টিটিউট থেকে একটি চিকিৎসক দল সেখানে গেছে।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ২১ জন রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছিল। তাদের মধ্যে হাবীব খান (৪৫) নামে একজন রাতে মারা গেছে। ১৫ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আর বাকিদের প্রাক-প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিকাশ মজুমদার (১৬) সহ দুইজনকর ঢাকা মেডিক্যাল পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। এটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে আসছিল। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঝালকাঠি থেকেই বরগুনার চারটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় শনিবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে ৩০ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে দাফনের কাজ চলছে। সবার ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এজেডএস/এএটি