ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সখিপুরে বনের জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ চারতলা ভবন!

সুমন রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
সখিপুরে বনের জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ চারতলা ভবন!

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখিপুরে বনের জমিতে নির্মাণাধীন চারতলা ভবনসহ ৮টি টিনের ঘর ও একতলা পাকা ভবনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী একটি মহল।  

উপজেলার বাঁশতৈল রেঞ্জের বংশীনগর বিটের তক্তারচালা বাজারের ঢাকা-সখিপুর সড়ক ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে এসব ভবন ও প্রতিষ্ঠান।

 

স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সমন্বয় করেই এসব হচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানায় বনের জমি নয় সেটেলমেন্ট রেকর্ড জমিতেই গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তক্তারচালা বাজারের ঢাকা-সখিপুর সড়ক ঘেঁষে চারতলা একটি ভবনের দুই তলার কাজ শেষ এবং বাকি দুই তলার কাজ চলছে গোপনে। এদিকে সড়ক ঘেঁষে চারটি টিনের দোকান ঘর, একটি এক তলা পাকা ভবন এবং বন ঘেঁষে আরও পাঁচটি টিনের ঘর তোলা হয়েছে। ঘরগুলোতে ফর্নিচারের দোকানসহ অন্যান ব্যবসা বাণিজ্য চলছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় লকডাউনের সুযোগে রাতারাতি এসব নির্মাণ করা হয়েছে বলেছে জানিয়েয়েছে স্থানীয়রা।  

চারতলা ভবনটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছেন ফরহাদ সিকদার ও মো. আলতাফ হোসেন। তার পাশে এক তলা ভবন নির্মাণ করেছেন আব্বাস খান। এছাড়া টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন মো. শরীফ মিয়া, আক্কাস আলী (খলিফা), চাঁন মিয়া, আলম মিয়া ও হালিম মিয়া। এরা সংঘবদ্ধ হয়ে বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বনের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে আসছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, এই জমিটি মূলত ২ নম্বর খাস খতিয়ানের ৩৮৮ নম্বর দাগের বন বিভাগের জমি। এই জমির পাশে কিছু রেকর্ডের জমি আছে কিন্তু তা ডিমারগেশন করা নেই। বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই এলাকার প্রভাবশালী একটি গ্রুপ বনের জমি দখল করে দোকান ঘর ও বিল্ডিং নির্মাণ করছে। সামাজিক বনায়ন ও বনের জমি রক্ষার্থে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে ভবন মালিক ফরহাদ সিকদার বলেন, বনের জমি নয় রেকর্ড সম্পত্তি ক্রয় করে বিল্ডিং নির্মাণ করছি। জমির কাগজ দিয়ে ব্যাংক থেকে লোন তুলেছি। অযথা কিছু লোক মনে করে এটা বনের জমি।

বংশী নগর বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।