ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিল্পকলা একাডেমির ডিজির অপসারণ দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
শিল্পকলা একাডেমির ডিজির অপসারণ দাবি মানববন্ধন

ঢাকা: দুর্নীতি একটি চরম সামাজিক ব্যাধি, রাষ্ট্রীয় ক্যানসার। শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে গণসংস্কৃতি পরিষদ।



মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’ সংস্কৃতি চর্চার পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত যেটি বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিতি। এটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।  
জানা গেছে, এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালকের দায়িত্বে আছেন লিয়াকত আলী লাকী। দীর্ঘকাল দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে এসেছে, যা সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে বা হচ্ছে। তাতে সংস্কৃতি অঙ্গনে চরম নিন্দা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
 
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আজ পর্যন্ত অন্যান্য খাতের দুর্নীতিবাজদের মতোই ওই কর্তকর্তার বিরুদ্ধেও সঠিক কোনো তদন্তের ভিত্তিতে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি। তাই অভিযুক্ত ওই ডিজির অপসারণ এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘গণসংস্কৃতি পরিষদ’র আজকের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কৃতি অঙ্গনের উপস্থিত ব্যক্তিরা বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ এই ডিজির অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেন’।  

এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন পাঠাগার আন্দোলনের সংগঠক কাসেম মাসুদ, নাট্য লেখক ও গবেষক আবুল কালাম আজাদ, অভিনেতা নাদিম হাসান, নিবন্ধকার ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্য়্ক তারেক রহমান, সংস্কৃতি কর্মী এস কে রাসেদ, সমাজচিন্তা পত্রিকার সম্পাদক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ (ঢাবির সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, লালন গবেষক ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক পাঠান আজহার, সংস্কৃকি কর্মী আসিফ মাহমুদ, নাঈম হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহকারী আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌসি শিখা এবং কবি ও সম্পাদক শওকত হোসেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কবিতা পাঠ করেন কবি প্রদীপ মিত্র, আবুল কালাম আজাদ, তানজিদা ঋতু ও কবি জসিম উদ্দিন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন রোমান সিঙ্গার ও আলমগীর হোসেন।    
দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে সংহতি জানান কবি চঞ্চল আশরাফ, কবি বঙ্গ রাখাল, কবি আশিক আকবর, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কবি সোহেল মাজহার, কবি রইস মুকুল, ছোটকাগজ সম্পাদক সরকার আশরাফ ও হানিফ রাশেদিন, ভাস্কর রাশা, অনুবাদক আলমগীর খান, লেখক দিলদার হোসেন, চিত্রশিল্পী জাকির হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন, অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জুনায়েদ হালিম এবং নাট্য কর্মী নুসরাত তাবাচ্ছুম।  

এছাড়া নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক সচেতন নাগরিক উপস্থিত হয়ে দুর্নীতিবাজ ওই কর্মকর্তার অপসারণ দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।