ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যরাতে হাসপাতালে আগুন, নেভালেন রোগী-স্বজনরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
মধ্যরাতে হাসপাতালে আগুন, নেভালেন রোগী-স্বজনরা

বরগুনা: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়ে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে রোগীদের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত দেড়টার দিকে এঘটনা ঘটে বলে জানান হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা।

জানা যায়, রাতে ওই হাসপাতালের রোগীরা ঘুমোচ্ছিলো। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায় এবং চারপাশে ধোঁয়া দেখতে পান রোগীরা। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তাররা সব রোগীকে দ্রুত নিচে নামতে বলেন। পরে ওই হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক, রোগী-স্বজনরা আগুন নেভান।

এদিকে হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় ভর্তি সব রোগীরা হাসপাতালের সামনের রাস্তায় আশ্রয় নেয়। এসময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।

রোগীর স্বজন মাহতাবউদ্দিন বলেন, ছোট ভাইয়ের টাইফয়েডের রোগী। সে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি। রাতে তার সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ মানুষের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি আশপাশে ধোঁয়া এবং পোড়া গন্ধ। পরে দ্রুত ভাইকে নিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গিয়ে আশ্রয় নেই।

রোগী ছবি রাণী বলেন, শরীরের দুর্বলতা নিয়ে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হই। রাতে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন লাগিয়ে দিলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ মানুষের চৎকারে ঘুম ভেঙে দেখি সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। তখন স্যালাইন খোলার জন্য নার্সদের ডাকতে থাকি। তবে কেউ আসেনি তাই স্যালাইন লাগানো অবস্থায়ই হাসপাতালের বাহিরে চলে আসি। হাসপাতালের সামনে আরও অনেক মানুষ ছিল।

বরগুনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো হারুনর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যাই। তারপর বিদ্যুৎ বিভাগকে ঘটনাটি জানালে তার এই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা অতটা না থাকলেও আতঙ্কে অসুস্থ রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেনকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।