ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের দুটি স্মৃতিস্তম্ভ হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের দুটি স্মৃতিস্তম্ভ হবে

ঢাকা: চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার্থে কালুরঘাট ও বিমানবন্দরের পাশে কাট্টলি মৌজায় দুটি মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে নির্ধারিত সেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

 

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব ছিল। একটি হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চারজন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। সেজন্য সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার্থে কিছু করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের বলেছি, কোথাও জায়গা পাওয়া গেলে বা দিলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে।

তিনি বলেন, আমি এর আগে যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম তখন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাছাকাছি কাট্টলি মৌজায় একটি জায়গা দেখিয়েছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলে প্রস্তাব দিলে ইনশাল্লাহ সেখানেও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ করবো। চট্টগ্রামভিত্তিক যেসব প্রকল্প চলমান আছে সেগুলো জেলা প্রশাসকদের অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে।  

আমি ব্যক্তিগতভাবে দুটি প্রস্তাব রেখে আসছি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ভূমির সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে। সেটার এলোকেশন অব বিজনেস পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনলে ভালো হয়। কারণ সাব-রেজিস্ট্রির কার্যক্রম ভূমি অফিসের রিলেটেড। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলে কাজে গতি আসবে বলে আমি মনে করি।  

অপর প্রস্তাবটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে। সেটা হলো, আমরা যেসব জিনিসপত্র কিনি তার জন্য ভ্যাট দিতে হয়। সেটা দোকানদার রাখে। কিন্তু দোকানদার সেটা ঠিকমতো দেয় কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ হয়। আর জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের দোকান থেকে যেসব পণ্য কিনি তখন যে ক্রয় রশিদ দেওয়া হয় সেটা হাতে লেখা থাকে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ে কিছু সমস্যা হয়। এজন্য বলেছি সরকার যদি নিজেদের উদ্যোগে সব দোকানদের ইএফটি মেশিন সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছি। যাদের কেনার সামর্থ নেই তাদের যদি সরকার লোনে দেয়। যাতে পর্যায়ক্রমে ২০ কিস্তি বা ধাপে কেটে নেবে। এ মেশিন যদি সব দোকানদারদের দেওয়া হয় তাহলে ক্রেতারা যে ভ্যাট দেন সেটা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। এতে সরকারের আয় বাড়বে।  

ইএফটি মেশিন কী দোকানদাররা কিনে নেবেন না সরকার বিনামূল্যে দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানদারদের এটা কিনে নিতে হবে। যদি কেনার সামর্থ না থাকে তাহলে সরকার তাকে দেবে কিন্তু ২০ কিস্তিতে তার কাছ থেকে সে দামটা আদায় করে নেবে।  

সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, সে বিষয়ে আজকের মিটিংয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে আগেই এ বিষয়ে মোটাদাগে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তাদের কাছে তালিকা চাইলে তারা তালিকা দিয়েছেন। তারপরও যদি কোনোটা বাদ থেকে থাকে সেটা তারা দিতে পারবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।