চাঁদপুর: মাওয়া ফেরিঘাটে বড় ধরনের যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। যার কারণে এই ফেরিঘাটের শরীয়তপুর অংশের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশের হরিণাঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ছে, ফলে বাড়ছে যানজটও।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হরিণা ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড থেকে আঞ্চলিক সড়কের জব্বর ঢালীর দোকান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান দেখা গেছে। এতে চাঁদপুর-হাইমচরসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট যানবাহনগুলো চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে।
খুলনা থেকে আসা মালবাহী ট্রাক চালক রবিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ফেরিঘাটের শরীয়তপুর আলু বাজার ঘাটে দুই দিন অপেক্ষায় থেকে ফেরি পার হয়েছেন। কিন্তু চাঁদপুর অংশে হরিণাঘাটে এসে ৩ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েছেন। সড়কের দুই পাশে ফেরির জন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে কোনভাবেই যানজট কমছে না।
চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন হরিণাঘাট থেকে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। ছোট গাড়ি নিয়ে চলাচলেও এখন খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। হরিণাঘাট কিংবা বিআইডাব্লিউটিসির কোন লাইনম্যান নেই। নেই ট্রাফিক পুলিশও। এই অবস্থা চলতে থাকলে ছোট যানবাহনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। একজন রোগী নিয়ে জেলা সদরে যাওয়া এখন সম্ভব না। ৩০-৪০ মিনিট যানজটে অপেক্ষা করতে হয়।
বিআইডাব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুন নুর বাংলানিউজকে বলেন, মাওয়াঘাটে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আরিচা ও চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আমাদের ৭টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। তারপরও গাড়ির চাপ কমছে না। ফেরি আরও বাড়াতে হবে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পার্কিং ইয়ার্ডে যে পরিমাণ গাড়ি রাখার জায়গা আছে তাতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এছাড়া সড়কে গাড়িগুলো সিরিয়াল করার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাও নেই। ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য আমি বেশ কিছুদিন আগে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি, আবারও আলোচনা করব। ফেরি রুটের দুই পাড়ে আরেকটি ঘাট বাড়ানো ও পার্কিংইয়ার্ড বড় করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড