মেহেরপুর: স্বামী পছন্দ না হওয়ায় বাড়ির লোকজনকে দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন জামাই মাহফুজ (২১) ও তার পরিবারের লোকজন।
মাহফুজ গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের স্কুলপাড়া এলাকার বাবলু হোসেনের ছেলে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজের শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, তাকে মারধর করা হয়নি।
মাহফুজের মা রনিয়ারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ২৫ দিন আগে একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের কসাই ব্যবসায়ী সোহেল রানার মেয়ে সোহানা খাতুনের সঙ্গে আমার ছেলে মাহফুজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোহানা একবার তিনদিন ও একবার ৯ দিন আমার বাড়িতে ছিল। কয়েকদিন আগে সোহানা তার বাবার বাড়িতে যান। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে মাহফুজ শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্ত্রী সোহানা তাকে খাটের উপর থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তালাক দেওয়ার জন্য বলেন। এসময় সোহানার বাবা সোহেল রানা, দাদা আব্দুল মান্নানসহ বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে ফেলে দেয়। পরে মাহফুজের পরিবারের লোকজনের কাছে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নেন। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পরপরই বৌমাকে একটি চেইন, দুল ও একটি দামি মোবাইল কিনে দিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলেকে তারা আজ পর্যন্ত একটি পোষাকও দেইনি।
এদিকে সোহানার বাবার মোবাইলে ফোন দিলে তার চাচি পরিচয়ে লিমা খাতুন বলেন, আমরা কেউ তাকে মারধর করিনি। রাতে মাহফুজ এসেই বিছানায় শুয়ে পড়ে। তাকে খেতে ডাকলেও ওঠেননি। পরে তার আপন খালাকে খবর দিলে তিনি এসে মাহফুজের কি হয়েছে জানতে চান। কিন্তু মাহফুজ কোনো কথা বলেনি। এজন্য তার আপন খালা তাকে চড় থাপ্পড় মারেন। এরপর আমরা আর কিছু জানিনা।
আহত মাহফুজ বলেন, আমি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পরপরই আমার স্ত্রী, শ্বশুর ও দাদা শ্বশুর মিলে আমাকে নানা ধরনের অসম্মানজনক কথা বলে অপমান করে। পরে তাদের অপমান অপদস্ত সইতে না পেরে আমি জ্ঞান হারায়। পরে শ্বশুর, শাশুড়ি, দাদা শ্বশুর মিলে আমাকে মারধর করে। এসময় তারা আমাকে পা ধরে পুকুরে ফেলে দিয়ে আসারও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার এমকে রেজা বাংলানিউজকে জানান, ভর্তি হওয়ার সময় তার মুখ দিয়ে ফ্যাঁপড়ানি উঠছিল। এছাড়া শরীরের কয়েক স্থানে জখমের দাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এনটি