নওগাঁ: নির্মাণশিল্পে নির্মাণশিল্পীদের দক্ষতা ও সচেতনতাকে এগিয়ে নিতে শৈল্পিক নির্মাণ, রাজমিস্ত্রির অবদান শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে রাজমিস্ত্রিদের অংশগ্রহণে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা সিমেন্ট এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী রাজমিস্ত্রিরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে তাদের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও তাদের নির্ভরতার কথা উল্লেখ করেন।

রাজমিস্ত্রীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ব্যবহার করে দেখেছি তবে বসুন্ধরা সিমেন্টের গুনগতমান অন্যসব ব্র্যান্ডের চাইতে অনেক উন্নত। আমরা বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।  

বসুন্ধরা সিমেন্টের নওগাঁর পরিবেশক আহসান সাইদ, খন্দকার ফজলুর রহমান ও এএসএম শামীম গোলাপ বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই কর্মশালার মাধ্যমে রাজমিস্ত্রীরা বসুন্ধরা সিমেন্টের গুনগত মান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। ফলে তারা ক্রেতাদের পরামর্শ দিচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট ক্রয়ের জন্য।  

নওগাঁ হাউজ বিল্ডার্স অ্যান্ড কনসালটেরেন্টর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রায়হান শরীফ বলেন, দক্ষ কর্মীর ভূমিকা এবং উন্নতমানের বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে তাতে রাজমিস্ত্রীরা অনেক কিছু শিখেছে। এছাড়াও তিনি গুণগত মান বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বসুন্ধরা সিমেন্টের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বসুন্ধরা সিমেন্টের রাজশাহী ডিভিশনের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। পদ্মা সেতু নদী শাসন প্রকল্প, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড, মেট্রোরেল প্রকল্প, ফাস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, পায়রা সেতু প্রকল্প, কালনা সেতু প্রকল্প, সাসেক রোড প্রকল্প, ভুলতা ফ্লাইওভার প্রকল্প, কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প, রূপসা রেল সেতু প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট।  

কর্মশালায় বসুন্ধরা সিমেন্টের বগুড়া এরিয়ার এরিয়া সেলস ম্যানেজার শাহাবুল ইসলাম, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসিনুর রহমান, নওগাঁ জেলার তিনজন পরিবেশক ও ৪০জন রাজমিস্ত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এনটি