নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়।
বঙ্গবন্ধু যদি আরও ১০ বছর বেঁচে থাকতেন তাহলে এদেশকে উন্নত সোনার দেশ করে যেতে পারতেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ৭১ এর পরাজিত সৈনিকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকেও তারা হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার সেই অসমাপ্ত স্বপ্নকে পূরণ করেছেন।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার সময় নাটোরের সিংড়া গোডাউন চত্বরে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হাইজহোল্ড সাইলো সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ প্রবণ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ৬ হাজার পরিবারের মাঝে পারিবারিক সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, অতিতের কোনো প্রধানমন্ত্রীই চিন্তা করেনি আমার এলাকায় যদি বন্যা হয় তাহলে তাদের চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য সংরক্ষণের জন্য এ রকম পারিবারিক একটা ছোট্ট উদ্যোগ নেওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই তার বাবার মতই এদেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেছেন। এদেশের কৃষক শ্রমিকরা যেন দুবেলা খাবার খেতে পারে তার জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই হচ্ছে তার জীবনের একমাত্র চাওয়া। সেই গ্রাম ও শহরের দূরত্ব এবং বৈষম্যকে দূর করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলে-ন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশিদ, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিংড়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৬ হাজার পারিবারিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইলো বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
আরএ