বরিশাল: বরিশাল নগরের আছমত আলী খান (এ কে) ইনস্টিটিউশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক এইচ এম জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার সহকর্মীরা।
রোববার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রতিষ্ঠানটির ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী অপপ্রচার চালাচ্ছেন। শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাদের চরিত্র হরণের জন্য নানা রকম নাটক সাজাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জসীম উদ্দিন। এরপর থেকে অস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠানের দুটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। সেখানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জসীম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে, যা বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তাধীন।
তারা আরও বলেন, নিজের অপরাধ এবং দুর্নীতি আড়াল করতে নাটকীয়তার আশ্রয় নিচ্ছেন জসীম উদ্দিন। তিনি প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির উদ্দিনকে শ্লীলতাহানির মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেছেন। নিজের স্ত্রীকে দিয়ে এই মামলাটি দায়ের করান জসিম উদ্দিন। তার এসব কাজে সহকর্মীরা ভীত। এ সময় তারা শ্রেণিকক্ষ দখলমুক্ত করার দাবি জানান।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে জসীম উদ্দিন বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি কমিটির সভাপতি হাসান মাহমুদ বাবুসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি এখনও তদান্তাধীন।
আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মামলাটি বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
এ কে ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, পরিপত্র অনুযায়ী আমরা বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছি। নিয়ম মেনেই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি মামলা করেছেন, আমরা খারিজের জন্য আবেদন করেছি।
হাসান মাহমুদ বাবু আরও বলেন, জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করছেন। এটা নিয়ে ইতোপূর্বে শিক্ষকদের তেমন আপত্তি ছিল না। সম্প্রতি সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের গায়ে লেগেছে। এ কারণেই তারা এখন শ্রেণিকক্ষ মুক্ত করতে চাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মো. জিয়াউল হক ফারুক, কাঞ্চন আলী, রতন কুমার মজুমদার, ইসরাত জাহান সিলভী, আসমা আক্তার, মো. মামুন হাওলাদার, আইরিন জাহান সালমা, তরিকুল ইসলাম, রোকসানা কনক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এমএস/এনএসআর