সিরাজগঞ্জ: বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর তার পাশেই একটি চিরকুটে লিখে রাখা হতো মোবাইল ফোন নম্বর। সেই নম্বরে ফোন দিলে মিটারের জন্য টাকা দাবি করা হতো।
সিরাজগঞ্জে বেশ কিছুদিন ধরে এভাবেই মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। এমন একাধিক ঘটনার পর এ মিটার চুরি চক্রের মূল হোতা বাকিরুল ইসলাম রাকিবকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম। এর আগে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্য রাতে জেলার সলঙ্গা থানার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় চুরি করা সাতটি বৈদ্যুতিক মিটার ও চুরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, রাকিব দিনের বেলায় একটি ব্যাগের মধ্যে মিটার খোলার যন্ত্রপাতি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রেকি করে রাখতেন। রাতে ওই এলাকায় মিটারগুলো পোল থেকে খুলে সেখানে একটি চিরকুটে মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ওই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে টাকা দাবি করতেন রাকিব। কথামতো টাকা পাঠিয়ে দিলেই চুরি করা মিটারটি কোনো নির্দিষ্ট স্থানে রেখে গ্রাহককে কল দিয়ে বলে দেওয়া হতো।
বেশ কিছুদিন জেলার কাজিপুর, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় এমন অভিনব পদ্ধতিতে মিটার চুরি হচ্ছিল বলে জানান পুলিশ সুপার। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ চোরচক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিটার চুরির মূল হোতা বাকিরুল ইসলাম রাকিবকে সলঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে কাজীপুর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রাম থেকে একটি, মাথাইলচাপড়া গ্রাম থেকে একটি, রৌহাবাড়ি গ্রাম থেকে দু’টি, হাটশিয়া গ্রাম থেকে দু’টি ও রায়গঞ্জ উপজেলার এলাঙ্গী মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে একটি বৈদ্যুতিক মিটার ও মিটার চুরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
মিটার চুরির ঘটনায় কাজীপুর ও রায়গঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এসআই