ঢাকা: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও রাজধানীর মিরপুরবাসী বিজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন দেড় মাস পর। মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণাঙ্গন মিরপুর মুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
মিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলন মিরপুর শাখার সংগঠকরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে জল্লাদখানায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এ দিন সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিছিল করে জল্লাদখানায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের মিরপুর শাখার আহ্বায়ক মাহবুব রতন, সদস্য সচিব মিজান রহমান, শ্রমিকনেতা শাহ মান্না বেনারশী, জাতীয় পরিষদ সদস্য উৎসব মোসাদ্দেক, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা মো. আসাদুল্লাহ প্রমুখ।
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের জনযুদ্ধে শহীদদের স্বপ্নের সত্যিকার আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র আজও নির্মিত হয়নি। এখন দেশে চলছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন একদলীয় শাসন। জনগণকে সংগঠিত করে এই শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র নির্মাণ আমাদের এই সময়ের লড়াইয়ের গন্তব্য।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও বহু হানাদার ভারী অস্ত্রসহ অবস্থান করছিল মিরপুরে। সেখানে তখনো উড়তো পাকিস্তানের পতাকা। স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা থেকে মিরপুর ছিল বিচ্ছিন্ন। একে আখ্যায়িত করা হতো ‘এক টুকরো পাকিস্তান’ নামে। মিরপুর মুক্ত করতে প্রচুর বাধার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার ৪৫ দিন পরে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার উপকণ্ঠের মিরপুর শত্রুমুক্ত হয় তীব্র এক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এমজেএফ