জয়পুরহাট: ৯ বছরের রাফাত। জন্ম থেকেই দুই পা সরু হওয়ায় উঠে দাঁড়াতে পারে না।
রাফাতের মা কবরী বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলের জন্ম থেকেই দুই পা সরু হওয়ায় উঠে দাঁড়াতে পারে না। কথাও বলতে পারে না। আবার অনেক সময় মাথাটা সোজাও করতে পারে না।
কবরী বেগম বলেন, অভাব অনটনের এই সংসারে আমার স্বামী মজনু মিয়া যখন যে কাজ পায়, সে কাজ করেই কোনোমতে পেট চালায়। অভাবের এই সংসারে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে ছেলেকে প্লাস্টিকের বালতিতে বসিয়ে রেখে সংসারের কাজ কাম করি। তাকে নিরাপদে রেখে বাড়ির বাইরে যেতে পারি না।
কোমর গ্রাম এলাকারই বাসিন্দা রাফাতের মামা হারুনুর রশীদ অনেকটা আক্ষেপের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাগিনার জন্য একটি হুইল চেয়ার এবং প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে নেওয়ার জন্য স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েছি। এতে আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।
স্থানীয় বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খায়রুল আলম মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, রাফাতের পরিবার দীর্ঘ দিন ঢাকায় ছিলেন। সর্বশেষ নির্বাচনের ২-৩ মাস আগে এলাকায় এসেছেন। আমি তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে একটা ব্যবস্থা করবো।
জয়পুরহাটে লাল সবুজ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি জাকারিয়া মন্ডল শিমুল বলেন, প্রতিবন্ধী শিশু রাফাতকে সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বিভিন্ন অফিসে যেতে হয়, তা আমার সংগঠন থেকে করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই সঙ্গে একটি হুইল চেয়ার সংগ্রহের জন্যও চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আল ইমরান মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি আজই আমার মাঠ কর্মীর মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
জেডএ