পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনা পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নের বড়টেংড়া গ্রামে দুইদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো. খালিদ মাহমুদ আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার থেকে জানা গেছে, রোববার (৩০ জানুয়ারি) থেকে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রিফাত (৪) ও নাছিমা বেগম (৩৫) নামের দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শিশু রিফাতের মা রুপা আক্তার জানান, রোববার দুপুর ২টার দিকে চাচার ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে আসার সময় এক পাগলা কুকুড় তার ছেলে রিফাতের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তার ডান পা ও ডান চোখের ওপরে কামড় বসিয়ে দেয় কুকুরটি। রিফাতের চিৎকারে আমি এবং আশপাশের লোকজন ছুটে আসি। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
কুকুরের কামড়ে আহত নাছিমা বেগম বলেন, দুপুরে ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি কুকুর আমার হাত ও পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। আমাদের গ্রামে আগের থেকেই কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এটা যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তবে আমার মতো অনেকেরই এমন অবস্থা হতে পারে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছি। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। আইনে কুকুর হত্যা করার বিধান নেই, তাই কুকুর নিধন করা যায় কিনা সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার খালিদ মাহমুদ আরিফ বলেন, দু’দিনে প্রায় ১৬ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে দু’জনের আবস্থা গুরুতর। তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
জেডএ