নীলফামারী: ভুলক্রমে জমির শ্রেণি পরিবর্তন হওয়ায় শিল্পকারখানা হয়ে গেছে কবরস্থান। এতে গত তিন বছর ধরে খাজনা দিতে পারছেন না জমির মালিক।
জমির মালিক রাজকুমার পোদ্দার জানান, ১৯৮১ সালে সৈয়দপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রথম জমি কিনে তিনি একটি অ্যালুমিয়াম তৈজসপত্র তৈরির কারাখানা গড়ে তোলেন। পরে কারখানাটি বিস্তৃত হতে থাকে। যার নাম রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ ওই কারখানাটিতে নোয়াহ ব্রান্ডের প্রেসার কুকার, ননস্টিক তৈজসপত্র, গ্যাস বার্নারসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি তৈজসপত্র তৈরি হয়ে থাকে।
রাজকুমার পোদ্দার জানান, ১৯৯৮ সালে সরকারিভাবে ভূমি জরিপ শুরু হয়। ওই সময় মাঠ পর্যায় ২৭৩৮ খতিয়ানে উল্লেখ করে দাগ নং-১৬৩০/১৯৮১ সাবেক দাগ ও ৪২৫২ হাল দাগের নয় হাজার শতাংশ জমি যার চূড়ান্ত খতিয়ান ১৪৬৬ প্রদান করা হয়। ওই দাগে উল্লেখিত জমি কারখানা হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে। কিন্তু জমির মালিক বিগত ২০১৯ সালের ১৯ মে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে জানতে পারেন সরকারি রেকর্ডে ওই জমিকে কবরস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তহসিল অফিস খাজনা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক রাজকুমার পোদ্দার সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ২০১৯ সালের ২২ মে সংশোধনের আবেদন জানান। কিন্তু তিন বছর অতিক্রম হলেও আজ অবধি তা সংশোধন হয়নি।
রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জমির মালিক রাজকুমার পোদ্দার জানান, কামারপুকুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভুল করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দিয়েছে। যার খেসারত আমাকে দিতে হচ্ছে। ভূমি অফিস খাজনা নেওয়া বন্ধ রেখেছে। শ্রেণি পরিবর্তিত জমির বিপরীতে ব্যাংক প্রাপ্তিতেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
এ নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইনের সঙ্গে কথা হয়। নথি না নিয়ে এ ব্যাপারে কিছুই বলা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন হলে তা সংশোধনের আইনি সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
আরএ