ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাসে ডাকাতি: চক্রের আরও ৬ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
বাসে ডাকাতি: চক্রের আরও ৬ সদস্য গ্রেফতার প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ২০ জানুয়ারি চিকিৎসক ও তার বন্ধুকে রাতভর বাসে তুলে ঘুরিয়ে মারধর করে সবকিছু লুটের ঘটনায় ডাকাত চক্রের আরও ছয় সদস্যদের গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) তেঁজগাও বিভাগ।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, রোববার (৩০ জানুয়ারি) এই ডাকাত চক্রের মূলহোতাসহ ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এই নিয়ে চক্রটির মোট ১৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হলো।

আজ গ্রেফতার হওয়া ছয় ডাকাত সদস্য হলেন- মজিদ, রাসেল, নাঈম, রফিক, আলমগীর ও মহিবুল।

মঙ্গলবার রাতে তেঁজগাও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদাত হোসেন সুমা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ছয়জন গত ২০ জানুয়ারি বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ও ওই চক্রের সক্রিয় সদস্য।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার ছয় ডাকাত সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

এর আগে, ২০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আর কে আর পরিবহনে ওঠার পর ভয়ানক এক ডাকাত চক্রের কবলে পড়েন চিকিৎসক মো. শরিফুল ইসলাম ও তার বন্ধু। ডাকাতরা তাদের ১২ ঘণ্টা বাসে ঘুরিয়ে মারধর করে নগদ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মোবাইলের বিকাশ থেকে ৫ হাজার ও দুটি এটিএম কার্ড থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র লুটে নিয়ে মাতুয়াইলে সড়কের পাশে তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) হিসেবে কর্মরত।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হলে রোববার রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা হলেন- মো. নাঈমুর রহমান ওরফে নাঈম, মো. আবু জাফর ওরফে বিপ্লব, সজিব মিয়া, জহুরুল ইসলাম, মো. আলামিন, দিলিপ ওরফে সোহেল, মো. আলামিন ও শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া আচ্ছাদ।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি, লোহার বাটযুক্ত চারটি ছোরা, বিভিন্ন সাইজের পাঁচটি লোহার টুকরো রড, চোখ বাঁধার কাজে ব্যবহৃত তিনটি গামছা, বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ১০টি, খেলনা পিস্তল ২টি ও নগদ ১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এসজেএ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।