সাভার (ঢাকা): সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয়পাশে ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় দেড় হাজার টং দোকান উচ্ছেদ করেছিল হাইওয়ে থানা পুলিশ। তবে উচ্ছেদ অভিযানের একদিনের মধ্যেই দোকানগুলো আবারও ফুটপাত দখল করে স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এর আগে, সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এই ফুটপাতে অভিযান চালায় সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ।
হকারদের দাবি, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় দেড় হাজার টং দোকান রয়েছে। সোমবার কোনো নোটিশ ছাড়া অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ও হকারদের পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হকারদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা হকার্সলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্লা বলেন, করোনার কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়ে ফুটপাতে দোকান দিয়েছেন। কোনোমতে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছেন। সোমবার পুলিশ কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রায় দেড় হাজার হকারকে উচ্ছেদ করেছে তারা। এরপর হকাররা উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ও তাদের পুনর্বাসনের দাবিতে সন্ধ্যায় মহাসড়ক অবরোধ করে।
কবির মোল্লা বলেন, মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যতদিন পর্যন্ত হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হয় ততদিন নিয়ম মেনে দোকান পরিচালনা করতে হবে। এসব দোকানের কারণে যেন পথচারী ও পরিবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা না হয়।
পুলিশের অনুমতি নিয়েই দোকানগুলো পুনরায় বসানো হয়েছে বলে দাবি করেন কবির মোল্লা।
তবে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের পর হকাররা পুনর্বাসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। হকারদের সড়কে দোকান স্থাপনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষে প্রতিদিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আবারও ফুটপাত দখল করলে আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এসএফ/এনএসআর