শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি উল্টে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মামদামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজিরচর ইউনিয়নের খরিয়া গ্রামের মো. আবু তালেবের ছেলে মো. ইসমাইল (১৭) ও মো. সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সাইদুল মিয়া (১৭)।
আহতদের মধ্যে একই এলাকার মো. সাগর (২০), মো. মামুন (১৮), মো. লোকমান (১৭), মো. আরিফ (১৬), মো. রাশেদ আলী (১৭), মো. হাফিজুর (১৮) ও মো. সাকিল (২২) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এছাড়া আরও দুইজন শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি এবং মো. জুয়েল মিয়া (১৪) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও হতাহতদের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার সকালে পিকআপভ্যানে করে শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নের খরিয়া গ্রামের প্রায় ৩০ জন কিশোর ও তরুণ পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশে বনভোজনে যায়। বনভোজন থেকে সন্ধ্যায় এলাকায় ফিরে ভাড়ায় আনা সাউন্ড বক্স ফেরত দিতে পিকআপভ্যানে করে শ্রীবরদী বাজারে যায় ১৪ জন কিশোর। সেখানে বক্স নামিয়ে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে বাড়ি ফেরার পথে মামদামারী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলিটি পাশের খাদে উল্টে পড়ে। এসময় ট্রলিতে থাকা দুজন লাফ দিয়ে নেমে গেলেও বাকিরা গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসকরা। সেখানে ইসমাইল ও সাইদুলকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ জানান, ১০ জনের মধ্যে দুইজনকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকি সাতজনের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল হাশেম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২২
আরএ