ঢাকা: রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফেরাতে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্রুনাই দারুসসালামের দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান পেহিন ইউসুফের সঙ্গে ভিডিও কলে আলাপকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।
আলাপকালে ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ ব্রুনাইয়ের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক পর্যালোচনা করেন এবং সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন।
ড. মোমেন মিয়ানমারের নাগরিকদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে আসিয়ানসহ ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চান। রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও প্রকট হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে তার আশঙ্কাও তুলে ধরেন তিনি।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা চাপানোর কথা স্বীকার করে এরিওয়ান ইউসুফ সহানুভূতি জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাস্তুচ্যুত জনগণকে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে অনুযায়ী এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করবে।
এরিওয়ান ইউসুফ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজতর করার জন্য একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি সম্পাদনে জোর দেন।
ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ব্রুনাই তার পেট্রো-কেমিক্যাল খাত সম্প্রসারণ করছে। এই খাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত হতে পারে।
এ সময় বাংলাদেশি কর্মীদের আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং দ্রুত-শিক্ষণের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন ড. মোমেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এরিওয়ান ইউসুফ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। মহামারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়ে যাওয়া ব্রুনাইয়ের সুলতানের বাংলাদেশে সফরের কথা তুলে ধরেন। ড. মোমেন এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। উভয় মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সম্মত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
টিআর/এমজেএফ