জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে ১২ বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে ইছাহাক আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তির নামে থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় এ মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা। সম্পর্কে তিনি শিশুটির প্রতিবেশী দাদা হন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার একটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ১২ বছরের শিশুটির মা ও দাদি শ্রমিকদের জন্য রান্না করে সংসার চালান। মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়েটির মা ও দাদি রান্না করতে বাড়ি থেকে চলে যান। এসময় শিশুটি প্রতিবেশী দাদা ইছাহাক আলীর বাড়িতে গেলে তিনি তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
রাতে শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে তার বাবা-মা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে বুধবার দুপুরে ক্ষেতলাল থানায় গিয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মেয়েটি বর্তমানে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী ফেরদৌসী রানা চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাই।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, ষাটোর্ধ্ব ইছাহাক আলী গত তিন বছর আগে তার এলাকার এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এসআই