ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা রেঞ্জের সেরা ওসি চরভদ্রাসনের জিয়ারুল

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
ঢাকা রেঞ্জের সেরা ওসি চরভদ্রাসনের জিয়ারুল ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম

ফরিদপুর: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ নিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

এ উদ্যোগে জেলার নয়টি থানার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মসজিদ ভিত্তিক সতর্কমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

প্রার্থনার সময়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় ও বর্জনীয় দিক নিয়ে নানা সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরছেন সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তবে গত জানুয়ারি মাসের মসজিদ ভিত্তিক সচেতনতামূলক বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের ৯৬টি থানার মধ্যে প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম।  

গত ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে উপস্থিত হয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশে করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে নানা দিক নির্দেশনা দেন ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম। তার দেওয়া ওই বক্তব্য ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের দপ্তরে সংগ্রহ করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে ৯৬টি থানার মধ্যে চরভদ্রাসন থানার ওসির দেওয়া বক্তব্যেকে সেরা বিবেচিত করা হয়।   

জানা গেছে, ফরিদপুর পুলিশ সুপার (এসপি) আলিমুজ্জামানের নির্দেশনায় মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের সতর্ক করা হচ্ছে। জেলার নয়টি উপজেলার ৬৫টি মসজিদে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ কর্মকর্তারা মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাস্ক পরিধান, কোলাকুলি, দল বেঁধে হাটে-বাজারে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, লোক সমাগম এড়িয়ে চলাসহ সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে কথা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ নিয়ে মসজিদের ইমামদেরও বিশেষ ভূমিকা পালনে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণার অংশ হিসেবে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় খুতবার আগে চরভদ্রাসন থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম সচেতনতামূলক বক্তব্যে বলেন, সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে সবাইকে চলতে হবে। আমরা সবাই যদি সচেতনতা অবলম্বন করি, তাহলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। সচেতনতাই করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়।  

তিনি বলেন, সবাই থানায় আসবেন। থানায় সেবা নিতে এলে কোনো টাকা লাগে না। কোনো দালালকে টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। জঙ্গিবাদ মোকাবিলা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং সামাজিক অবক্ষয় দূর করাসহ অপরাধ তৎপরতা বন্ধে পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং এবং মাদকের অপব্যবহার রোধে প্রশাসনকে সহোযোগিতা করার আহ্বান জানান।

৯৬ থানার মধ্যে প্রথম হওয়া বিষয়ে ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অভিভাবক ঢাকা রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) স্যারের নির্দেশিত মসজিদ ভিত্তিক বক্তব্য চলমান আছে। আমিও প্রতি জুম্মায় মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের সচেতন করছি। তবে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হচ্ছে, গত মাসের মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণায় আমাকে রেঞ্জের সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে আমি খুবই আনন্দিত। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডিআইজি মহাদয় ও এসপি আলিমুজ্জামান স্যারকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।