ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা নতুন বাজার এলাকার একটি বাসায় মৃত্যু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজমুল শাহ সেজানের (২০) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, সেজানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সেজান ছিল দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির বিবিএ এর প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে গুলশান কালাচাঁদপুরে থাকতো সে।
সেজানের বাবা সাইফুল আলম ফকির অভিযোগ করে বলেন, সেজান কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার আগের রাতে (সোমবার রাতে) সেজান তার ছোট ভাই সিহাবকে নিয়ে বাণিজ্য মেলায়ও গিয়েছিলো। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুজনই ফিরে আসেন। তবে ছোট ভাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিলেও সে আর বাসায় ফিরেনি। পরেরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা খবর পান, সেজানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সেজানের মরদেহ কালাচাঁদপুরের বাসায় নিয়ে সেখানে প্রথম জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হবে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মঙ্গলবার সেজানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মৌ ইসলাম মিম নামের এক তরুণী জানান, সেজান ও সে বিভিন্ন কালচারাল প্রোগ্রামে কাজ করেন। এ কারণে তাদের মধ্যে পরিচিত হয় ও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়া তার বাসায় যাতায়াত ছিল সেজানের। মঙ্গলবার বিকালে সেজান তাকে ফোন দিয়ে ভাটারায় তাদের বাসায় যান।
মৌ আরও জানান, আমাদের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। বিকালে যখন সেজান আমাদের বাসায় আসে তখন আমার মা বাসায় ছিল না। পাশের রুমে বসে আমার মায়ের আসার অপেক্ষায় ছিল সেজান।
মৌয়ের মা নুরনাহার বলেন, মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বাসায় এসে দেখি একটি রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। পরে মৌয়ের সহায়তায় সেজানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন সে আমাদের বাসায় এসে এই কাজ করলো এখনও বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: ভাটারায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এজেডএস/এনএইচআর