রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন ও ১৫ জনকে খালাস দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া মামলার অভিযুক্ত বাকি ৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই তাদের বিচার শিশু আদালতে করা হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো.মিন্টু আলী, মো. রানা, মো. পানা, মো. আরিফ হোসেন, মো. শরীফ হোসেন ও আরজেল আলী ওরফে ভোলা। রায় ঘোষণা করার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
নিজের বোনের মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিলেন নাজমুল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন তার নবম শ্রেণিপড়ুয়া ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানায়। এ সময় আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার শেষে মিন্টু, রানা, পানা, আরিফ, শরীফ ও ভোলার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, আদালতে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। বাকি ৪ আসামি পূর্ণবয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিচারের ভার শিশু আদালতের ওপর দেওয়া হয়।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেরকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এসএস/এনএইচআর