বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা-বামনা সড়কের দু’পাশের সরকারি জমি জবর-দখল করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ অবৈধভাবে ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর জমি দখলের পেছনের ইন্দনের অভিযোগ রয়েছে ১ নম্বর রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলামের কিছু কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী, ভূমি অফিস ও পাউবো অফিস সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ একরের বেশি জমি রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু দিন দিন ওই জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয় তুষার, নাসির, কিবরিয়া, মিরাজ, শাহিন, মানিক, আ. বারেক, আমির মুন্সি, হামিদ মোল্ল্যা, ময়নাল, সিরাজ, শাহ আলম, জাকির, নাছির, মানিক, শাখাওয়াত হোসেনসহ ১৪-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট দল তৈরি করে। পরে তারা চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ওই জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বাবদ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে নেয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বনের জমি প্লট করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এরপর ওই সিন্ডিকেট দল টাকাগুলো ভাগ-ভাটোয়ারা করে।
সম্প্রতি এ চক্রের সঙ্গে মোটা অংকের টাকা চুক্তির মাধ্যমে ভূমি ও পাউবোর জমিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১৫-২০টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে গত বুধবার সকালে বনবিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ওই সিন্ডিকেটের তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে। তাদের হামলায় বিট কর্মকর্তাসহ ওই অফিসের সাতজন আহত হন।
তবে এ বিষয় কিছুই জানেনা বলে জানান রায়হানপুর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল বামনা উপজেলার মধ্যে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি দেখেছি ওই জমিতে ঘর উঠানো হচ্ছে। তবে ওই জমিতে আমাদের বাধা বা বরাদ্দ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।
তার ইন্দন রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, আমাদের কথা যে কেউ বলতে পারে। তবে এখানে আমার বা আমার কোনো কর্মীর হাত নেই।
পাথরঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি জমি জবর দখল করার প্রশ্নই আসেনা। এ বিষয় সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২২
এনটি