ঢাকা: ২০১৫ সালে নিজ এলাকা পটুয়াখালীতে বিলকিস বেগমকে বিয়ে করেন গার্মেন্টসকর্মী সোহাগ। তাদের পাঁচ বছরের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে।
একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা প্রথম বিয়ের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জেরে মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান সোহাগ।
গত ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকার একটি তালাবদ্ধ বাসা থেকে মুক্তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুক্তা আদমজী ইপিজেড’র অনন্ত গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তিনি ওই বাসায় স্বামী সোহাগসহ বসবাস করে আসছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোহাগকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর জানান, মুক্তা ও সোহাগ পৃথক দুটি গার্মেন্টসে চাকরি করলেও পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন তারা। ২০২১ সালে মুক্তা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত করানো হয়।
এদিকে, ২০১৫ সালে নিজ এলাকা পটুয়াখালীতে বিলকিসকে বিয়ে করেন সোহাগ। তাদের সংসারে পাঁচ বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। আগের বিয়ের বিষয়টি মুক্তা জানতে পেরে তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে গত ২২ জানুয়ারি রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মুক্তাকে হত্যা করেন সোহাগ। এরপর ঘটনাটি ভিন্নঘাতে প্রবাহিত করতে মরদেহটি ঘরে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান সোহাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
পিএম/আরআইএস