ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাফরুল্লাহর মানসিক চিকিৎসা দরকার: ছাত্র ইউনিয়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
জাফরুল্লাহর মানসিক চিকিৎসা দরকার: ছাত্র ইউনিয়ন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মানসিক চিকিৎসা দরকার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি সমাবেশে দাবি করেছেন কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। তিনি আরও দাবি করেন কাদের মোল্লা এবং দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সঠিক বিচার পাননি। ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য ভিত্তিহীন ও ইতিহাস বিকৃত, তার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই।

এতে আরও বলা হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির সামনে যে মিথ্যাচার করছেন তা দুঃখজনক। আমি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি মনে করছি জাফরুল্লাহ চৌধুরী উন্মাদের মত প্রলাপ করছেন। আমি তাকে পরামর্শ দেব আপনার বয়স হয়েছে, আপনি বিশ্রামে থাকুন। কাদের মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মত স্বীকৃত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা অনভিপ্রেত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে কাদের মোল্লা ছাত্র ইউনিয়ন করতো এই বক্তব্য অসত্য। কাদের মোল্লা ১৯৬৮ সালে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ করতেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এমএসসিতে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ছাত্রসংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাই কাদের মোল্লা ছাত্র ইউনিয়ন করতো মর্মে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য ইতিহাস বিকৃতির সামিল। তিনি উন্মাদের মতো কথা বলছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
আরকেআর/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।