নাটোর: পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব হচ্ছে গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য উৎসব পালনে প্রতিবছর এই সময় এলেই একত্রিত হোন নাটোরের লালপুরের পদ্মা পাড়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে অনুষ্ঠিত হল পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। দিনব্যাপী এই উৎসবে অংশ নেন লালপুরের কদমচিলান, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর, বড়াইগ্রামের বনপাড়া, রাজশাহীর বাঘার বাউসাসহ বিভিন্ন গ্রামের দেড়শতাধিক মানুষ। তারা দল বেঁধে নামেন বিলমাড়ীয়া বাজার সংলগ্ন পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে। তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশীয় মাছ।
স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই এলাকায় পলো দিয়ে মাছ ধরার ঘোষণা দেওয়া। এজন্য প্রস্তুত করা হয় বাঁশ ও জাল দিয়ে ছোট বড় অসংখ্য পলো। এলাকার সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা আজ মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন। এ এক গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের শতশত মানুষ আসেন মাছ ধরার এ উৎসবে। এসময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন এ উৎসব। বংশপরম্পরায় পালিত হয়ে আসছে এই এলাকায় এভাবে মাছ ধরা উৎসব।
মাছ ধরার উৎসবে অংশ নেওয়া স্থানীয় মোহরকয়া গ্রামের মো. সাজদার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক। প্রতি বছরের শীতের এ সময়ে নদীর পানি কমে যায়। তখন আশপাশের গ্রামের মানুষরা একসঙ্গে মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি। আজকেও এ মাছ ধরার উৎসবে প্রায় ২০০ জনের মতো অংশ নিয়েছে।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালের শেষের দিকের প্রতিবছরই মাছ ধরার উৎসব হয়ে থাকে। এবারে শীত একটু বেশি হওয়ায় মাছের পরিমাণ এবং অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতি কম। তাছাড়াও মাছ ধরার জায়গা নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এনটি