নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম মাসদাইরে পোশাক কারখানার কর্মী আমান আলী খুনের ৬ দিন পর মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আমানের মা জয়গুন নাহার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে থেকে ৬ জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, জয়গুন নাহার (৩৬) ও তার ছেলে আমান (১৮) ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় আউয়ালের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। মা ও ছেলে দুজন গার্মেন্টে কাজ করতেন। মামলার আসামিদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে আমান চলাফেরা করাসহ টিকটক ভিডিও করতেন। ২৮ জানুয়ারি বিকেলে হত্যাকারী আশরাফ ও জীবনের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে যান আমান।
সেদিন রাত পৌনে ৮টায় ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় আমান তার মায়ের কাছে এসে বলেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে পশ্চিম মাসদাইর রমজানের বাড়ির সামনের মাঠে আশরাফুল ও জীবনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আশরাফুল, জীবন, রাসেল, হাকিম, আনিছ, সৌরভ ওরফে হৃদয়, আ. সালাম স্বাধীন ও আশিকসহ ২/৩ জন মিলে আমানের বাম বাহুর নিচে ও শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। এ কথা বলে আমান অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পরপরই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এমআরপি/এমজেএফ