নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে নিখোঁজের ৮ দিন পর ফয়সাল আহম্মেদের মরদেহ উপজেলার বাগমুছা ঋষিপাড়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজন আসামিকে এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি রাতে সোনারগাঁও থেকে ফয়সাল আহম্মেদ (১৭) নামের কিশোর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুই দিন পরও তাকে পাওয়া না গেলে তার মামা মো. মানিক সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির সূত্র ধরে র্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভিযান পরিচালনা করে সোনারগাঁও থানার বাগমুছা ঋষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে নিখোঁজ ফয়সাল আহম্মেদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজন আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- বাগমুছা ঋষিপাড়ার অপূর্ব চন্দ্র দাস (১৯) ও একই এলাকার তপু চন্দ্র দাস ওরফে অপুকে (২৫)
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। আসামিরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আসামি অপূর্ব চন্দ্র দাস ফোনে ভুক্তভোগীকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে অপূর্বের সঙ্গে দেখা করতে যান ভুক্তভোগী ফয়সাল। জরুরি কথা আছে জানিয়ে বাড়ির পাশে থাকা উঁচু ভিটায় ফয়সালকে নিয়ে যান অপূর্ব।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফয়সালের সঙ্গে কথা বলার এক ফাঁকে হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ভুক্তভোগীর গলা পেঁচিয়ে ধরে তার বুকের ওপর ওঠেন অপূর্ব। এ সময় ফয়সাল চিৎকারের চেষ্টা করলে অপর আসামি অপু ভুক্তভোগীর পা দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং মুখ চেপে ধরে।
মৃত্যু নিশ্চিত হলে বাড়ির অদূরে ঝোপের মধ্যে থাকা একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচে মরদেহ ডুবিয়ে রাখেন আসামিরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা অধিকতর তদন্তে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
এমআরপি/জেএইচটি