ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিসি অফিসের পিয়ন সেজে প্রতারণা, অবশেষে ধরা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
ডিসি অফিসের পিয়ন সেজে প্রতারণা, অবশেষে ধরা  কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ মিয়া

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে স্বর্ণের গয়না, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন এক প্রতারক। পরে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় ওই প্রতারককে আটক করে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ।

এ সময় আসামির কাছ থেকে নগদ টাকা ও বিভিন্ন অলংকার উদ্ধার হয়েছে।

আটক প্রতারকের নাম কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ মিয়া (৪৩)। তিনি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আব্দুল কাশেম মিয়ার ছেলে।  

পুলিশ জানায়, কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ মিয়া গত ৩১ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নূর জাহান বেগমের বাড়িতে গিয়ে নিজেকে রাজশাহী ডিসি অফিসের পিওন বলে পরিচয় দেন। তিনি নূর জাহানকে জানান, তাকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য তাকে রাজশাহী জজ কোর্টে যেতে হবে। ফিরোজের কথামতো নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে রাজশাহী জজ কোর্টে আসেন।  

তারা রাজশাহী জজ কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে আসলে ফিরোজ তাদের বলেন, তোমাদের গয়না ও মোবাইলগুলো একটা ব্যাগের মধ্যে রেখে দাও। এগুলো দেখলে বাড়ি বরাদ্দ দেবে না। ফিরোজের কথামতো নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে তাদের বিভিন্ন অলংকার, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেন।

এরপর ফিরোজ তাদের বলেন, বাড়ির জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এজন্য তাদের কোর্ট বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় যেতে বলে। ফিরোজ ব্যাগটি তার কাছে রেখে যেতে বলেন। তারা ব্যাগটি ফিরোজের কাছে রেখে বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় গেলে সেই সুযোগে ফিরোজ তাদের ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। পরে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে নূর জাহান বেগম রাজপাড়া থানায় গিয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।

পরে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম আসামির নাম-ঠিকানা শনাক্তে অভিযান শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী ও তার দলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফিরোজকে রাজশাহীর বাঘা থেকে আটক করা হয়।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাইদুল ইসলাম বলেন, ফিরোজের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।