সাভার (ঢাকা): সাভার পৌরসভা এলাকায় সুতা কাটার যন্ত্র (কাটার) দিয়ে বড় সতিন সালমা আক্তারের (৩২) এক চোখ উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোট সতিন নুর নেছারের (৩১) নামে।
শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এনাম মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী সালমাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি পোশাক কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সালমা বরিশাল হিজল থানার দুর্গাপুর গ্রামের মোতালেবের স্ত্রী। তিনি সাভারের গেন্ডা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় আহম্মদ আলীর মালিকানা বাড়িতে ভাড়া থেকে আল মুসলিম নামের এক পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
অভিযুক্ত নুর নেছার বাড়ি রংপুর। তিনি সাভারের রাজাবাড়িতে থাকে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সালমা বাংলানিউজকে বলেন, মোতালেবের সঙ্গে আমার ১৮ বছর ধরে বিয়ে হয়েছে। আমি ১২ বছর ধরে সাভারে থেকে আল মুসলিমে চাকরি করছি। এরপর আমার স্বামী নুর নেছাকে বিয়ে করেন। আমার স্বামীর পানের দোকানদার। নেছাকে বিয়ের পর আমরা তিনজনই একই বাসায় থাকতাম একটা সময়। মাঝখানে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে কারখানা থেকে বের হওয়ার পর সাভার ফায়ার সার্ভিসের সামনে আমার চোখে ও বুকে সুতার কাটার দিয়ে আঘাত করে নুর নেছা। তারপর আমি আর কিছু বলতে পারি না।
ভুক্তভোগীর ছোট ভাই আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, দুলা ভাই মোতালেব পরের বিয়ে করায় পরিবারে প্রায়ই দ্বন্দ্ব হতো। বৃহস্পতিবার আমার বোন কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ওই নারী (নুর নেছা) কাটার দিয়ে বাম চোখে আঘাত করে চোখ উপড়ে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। স্থানীয়রা আমার বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সাভার থানার পরিদর্শক (ওসি) মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এসএফে/এসআরএস